মতাদর্শনিষ্ঠ সংস্কৃতিকর্মীর দায় পালন করার জন্যই সুপ্রকাশের জন্ম। সুপ্রকাশের প্রথম থেকেই লক্ষ্য, আলোকবৃত্তের বিপ্রতীপে থাকা বিষয়, মানুষ ও সমাজের স্বতঃশ্চল অন্তঃপ্রক্রিয়ায় এই যে আমাদের বর্তমান সংস্কৃতির অবয়ব— তার ধূলিধূসর ইতিহাস ও তার নেপথ্য কারিগরদের কথা তুলে আনা—যাঁদের কথা কোনো ইতিহাস বইতে লেখা থাকে না। যাঁদের কৃতিকে ইচ্ছাকৃত তাচ্ছিল্যে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়, যাঁদের পরিকল্পনামাফিক বাইরে রাখা হয় রশ্মিকেন্দ্রের— অথচ যাঁদের শ্রম-মেধা-আত্মত্যাগকে আত্মসাৎ করেই মিথ্যে মেকাপে গড়ে তোলা হয় আমাদের সংস্কৃতির বৈভব— তাঁদের কথা বলাই সুপ্রকাশের স্বনির্বাচিত দায়।

বাহুল্য হলেও উল্লেখ করা প্রয়োজন, সুপ্রকাশ ছাপাখানা বা পরিবেশক নয়। বই ছাপা, বাঁধাই, পরিবেশনা আর বিপণন বাদ দিলে যা পড়ে থাকে, সেটাই একটা প্রকাশনার চরিত্র হওয়া উচিত। এবং সুপ্রকাশ সর্ব অর্থেই একটি প্রকাশনা।

  • সুপ্রকাশ-এ সারাবছর যে কোনো সময় পাণ্ডুলিপি পাঠানো যায়। পাণ্ডুলিপি মনোনয়নে সময় লাগে ছ মাস।
  • সুপ্রকাশ-এ পাণ্ডুলিপি পাঠানোর আগে সুপ্রকাশ কী ধরনের কাজ করতে চায়, বা করছে, সে বিষয়ে লেখকের ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়।
  • সুপ্রকাশ-এর মতাদর্শগত অবস্থান লক্ষ করে পাণ্ডুলিপি পাঠানো প্রয়োজন।
  • সুপ্রকাশ একটি প্রকাশনা, ছাপাখানা নয়, সুতরাং গ্রন্থ-সম্পাদকের পূর্ণ স্বাধিকার রয়েছে বইটিকে অভীপ্সার কাছাকাছি পৌঁছানোর প্রয়াস নেওয়ার। এবং প্রত্যেকটি বইয়ের জন্য সুপ্রকাশের একজন গ্রন্থ-সম্পাদক রয়েছেন। সুতরাং লেখক পাণ্ডুলিপি পাঠাচ্ছেন মানে তিনি সম্পাদনায় সম্মতি জানিয়েই পাঠাচ্ছেন। পাণ্ডুলিপি পাঠানোর পর কোনো কারণেই সেই পাণ্ডুলিপি প্রত্যাহার করা যাবে না। এ বিষয়ে কোনো অনুরোধ গ্রাহ্য হবে না।
  • সুপ্রকাশ একটি সুনির্দিষ্ট বানানবিধি অনুসরণ করতে চায়, এবং সেটি সংসদ বা অকাদেমি বানানবিধি থেকে স্বতন্ত্র।
  • মেইলের সঙ্গে সুপ্রকাশের প্রধান সম্পাদকের উদ্দেশে এই মর্মে চিঠি প্রয়োজন যে, লেখক কেন সুপ্রকাশেই পাণ্ডুলিপি জমা দিতে চাইছেন। এই বয়ান না থাকলে সম্পাদকের সহকারী প্রধান সম্পাদকের কাছে পাণ্ডুলিপি পাঠাতে অপারগ।

পাণ্ডুলিপি সাবমিশন ফর্ম